কক্সবাজারে “মাদক প্রতিরোধ ও যুব সমাজের সম্পৃক্ততা” শীর্ষক সেমিনার
- ADAB
- March 13, 2023
- 3:04 pm
- No Comments
এডাব কক্সবাজার জেলা শাখার আয়োজনে মুক্তি-কক্সবাজার সম্মেলন কক্ষে গত ১৩ মার্চ, ২০২৩, “মাদক প্রতিরোধ ও যুব
সমাজের সম্পৃক্ততা” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এডাব কক্সবাজার জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি জনাব দিদারুল আলম রাশেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তি-কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী। তিনি উপস্থিত সবাইকে মাদক বিরোধী শপথ
বাক্য পাঠ করান এবং তিনি বলেন আমাদের দেশকে মাদক পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে.... এই প্রেক্ষিতে তিনি গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল গোল্ডেন ওয়েজ ও গোল্ডেন ক্রিসেন্ট সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা দেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুহুল আমিন। তিনি বলেন, তাঁরা নিয়মিত অভিযান চালানোর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক উদ্ধার করছেন এবং মাদক কারবারীদের আইনের কাছে সোপর্দ করেছেন। তাঁদের অভিযান সর্বদা চলমান থাকবে বলে তিনি জানান। তাছাড়া কক্সবাজারের সৌন্দর্য রক্ষার্থে এ অঞ্চলকে সকলের সমন্বয়ে মাদক মুক্ত রাখার জন্য অনুরোধ ব্যক্ত করেন। এই বিষয়ে তিনি এডাবের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
আরও উপুস্থত ছিলেন, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কক্সবাজার জেলার ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর জনাব গিয়াস উদ্দীন সরকার, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর প্রশিক্ষক সুমন বড়ুয়া, এডাব কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য জনাব জেসমিন সুলতানা পারু।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এডাব-এর সম্মানিত পরিচালক একেএম জসিম উদ্দিন বলেন ‘বর্তমানে সর্বনাশা মাদককে সমাজের জন্য একটা হুমকি হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে এর বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সারা দেশজুড়ে এডাব এর সদস্য সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানান’।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হেলপ
কক্সবাজার এর নির্বাহী পরিচালক আবুল কাসেম, কেফায়েত
উল্লাহ, নুরুল আজিম, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির
শিক্ষক রোকসানা কাউসার সহ আরও অনেকে। পাওয়ার পয়েন্টে
প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সেমিনারে উদ্দেশ্য ও অন্যান্য বিষয় সমূহ
বিস্তারিত উপস্থাপন করেন জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য
সচিব জনাব সুব্রত দত্ত।
সমাপনী বক্তব্যে এডাব সভাপতি দিদারুল আলম রাশেদ বলেন আমরা এই পৃথিবীর মানুষগুলো শুরু থেকে একটা মারাত্মক রকমের ভুল করে আসছি, আর তা হলো নিজের দোষ অন্যের উপর বেশ ভালো করে চাপিয়ে দেয়া। যার দিকে আঙুল তুলে আজ আমরা মাদকাসক্ত বলে ধিক্কার দিচ্ছি, বলুনতো সেকি আমাদের সমাজের বাইরের কেউ? সে যে নেশাটা নিচ্ছে, সেটা সে পেলো কোথায়? আমরা সমাজের সুরক্ষা দিতে চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছি, আর তার ফল ভোগ করছে যে আমাদের উচিত তাকে ধিক্কার না দিয়ে তার কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাওয়া। যেদিন আমাদের এই বোধ জাগ্রত হবে সে দিনই হবে সমাজের শ্রেষ্ট দিন, পরিবর্তনের দিন, আমাদের ব্যর্থতার দায় নিয়ে আর একটিও মানুষ নিগৃহিত হবে না। সেই দিনের আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।